ঢাকা, বুধবার   ০৪ জুন ২০২৫

তহবিল সংকটে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সোয়া ২ লাখ শিশু শিক্ষা ঝুঁকিতে

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৪:৪৭, ২ জুন ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

তহবিল সংকটের কারণে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের ২ লাখ ৩০ হাজার শিশুর শিক্ষা এখন হুমকির মুখে রয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ। 

সোমবার (২ জুন) দুপুরে কক্সবাজারে ইউনিসেফ কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানানো হয়। 

টেকসই অর্থনৈতিক সহযোগিতা ছাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সব ধরনের সহায়তার সুযোগ ঝুঁকিতে পড়েছে। যার মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে শিশুদের জন্য জরুরি মৌলিক শিক্ষার সুযোগ হারানোর আশংকা করেছেন তারা। 

এছাড়া তহবিল সংকটের কারণে ইতোমধ্যে ইউনিসেফ পরিচালিত লার্নিং সেন্টারগুলোর ১ হাজার ১৭৯ জন স্থানীয় বাংলাদেশী শিক্ষক চাকরি হারাতে বসেছে। 

প্রেস ব্রিফিংয়ে ইউনিসেফ কক্সবাজার অফিসের প্রধান এন্জেলা কার্নে জানান, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় ইউনিসেফ পরিচালিত কার্যক্রমের জন্য মানবিক সহায়তার তহবিল উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর প্রভাব পড়েছে শরণার্থী শিবিরগুলোতে ইউনিসেফের সহায়তাপুষ্ট শিক্ষা কেন্দ্রগুলোতে ভর্তি হওয়া স্কুলগামী শিশুদের ৮৩ শতাংশের শিক্ষার ওপর।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করা হয়, নতুন তহবিল গঠন এবং নতুন করে কার্যক্রম সাজানোর নিরলস প্রচেষ্টা চালানোর পরেও তহবিল সংকটের কারণে ইউনিসেফকে কিছু কষ্টদায়ক সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এর মধ্যে কিন্ডারগার্টেন থেকে দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কাজ করা হোস্ট কমিউনিটির স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষকদের সহায়তা স্থগিত করার মতো বিষয় রয়েছে। 

আগামী ৩০ জুনের মধ্যে সর্বমোট এক হাজার ১৭৯ জন স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষকদের ইউনিসেফের সঙ্গে চুক্তি শেষ হবে। এই স্বেচ্ছাসেবকেরা মূলত স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সদস্য। 

তহবিল সংকটের কারণে রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের মতো সিরিয়া, সোমালিয়া, ইথিওপিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন শরনার্থী ক্যাম্পেও ইউনিসেফের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। 

প্রেস ব্রিফিংয়ে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের মানবিক সংকট মোকাবিলায় পাশে দাঁড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দাতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।  

ইউনিসেফের এই কর্মকর্তা আরও জানান, নতুন করে তহবিল পাওয়া গেলে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও মানসম্মত শিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার জন্য সহায়তা অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে।  

এসময় ইউনিসেফের চট্টগ্রাম অফিস প্রধান মাধূরী ব্যানার্জি ও কক্সবাজার অফিসের কমিউনিকেশন অফিসার আবিদ আজাদ উপস্থিত ছিলেন।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি